You are currently viewing বাদাম ও মধু কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? মিশ্র বাদাম খাওয়া ভালো?

বাদাম ও মধু কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? মিশ্র বাদাম খাওয়া ভালো?

আমাদের শরীর একটি জটিল রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজন পরে বিভিন্ন প্রকারের পুষ্টি উপাদানের। বাদাম এবং মধু প্রক্রিয়া থেকে পাওয়া অপার পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। আমাদের আজকের লেখায় আমরা বাদাম ও মধু আমাদের জন্য ভালো কি না, এর পুষ্টি উপাদান, কোন বাদামে কেমন প্রোটিন আছে ইত্যাদি সম্পর্কে জানবো। 

বাদাম ও মধু কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

মানবজাতি টিকে আছে খাবার থেকে আশা পুষ্টি উপাদান থেকে। যদিও বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল উপায়ে শরীরে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তবে সেগুলো কখনোই সাইড ইফেক্ট ছাড়া আমাদের দেহে কাজ করে না। 

অন্যদিকে প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান আমাদের শরীরের জন্য সব থেকে বেশি ভালো ও কার্যকরী। যাইহোক, বাদাম এবং মধু স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। এই খাদ্য উপাদান দুইটির মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। নিচে এগুলোতে কি কি উপাদান আছে এবং তা কীভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

বাদাম 

বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, জিংক, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা-৩, ওমেগা-৬, পলি ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফসফরাস, আয়রন, কপার, সোডিয়াম, ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি উপাদান থাকে। 

এই সকল উপাদানের মানবদেহে নির্দিষ্ট কাজ আছে। এগুলো দেহের বর্ধন, পরিবর্তন, বিবর্তন ইত্যাদি পরিচালনা করে। বাদাম খেলে কি কি উপকার হয় বা এর পুষ্টি উপাদান আমাদের দেহে কি কাজ করে সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। 

কোলেস্টেরল কমায় 

বাদাম দেহে রক্তের হিমোগ্লোবিনে ভিটামিন-ই এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যা কোলেস্টেরল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া শরীরের জন্য ক্ষতিকারক LDL কোলেস্টেরল উৎপাদন ব্যাহত করে। এতে রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রিত থাকে যা পরোক্ষভাবে আমাদের হার্টকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে। অন্যদিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

ওজন কমাতে সহায়তা করে 

বাদাম একটি ফাইবার ও উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এটি আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরি সরবরাহ করে। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় আমাদের পেট ভরা থাকে এবং ক্ষুধার উদ্রেক কম হয়। এতে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় না যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে। 

হার্টের যত্ন নেয় 

হার্ট আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বাদাম খাওয়ার কারণে তা থেকে পাওয়া পুষ্টি উপাদান হার্টের স্বাস্থ্য সুস্থ ও সবল রাখে। বিশেষ করে বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি হার্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার বাদাম শরীরে রক্ত উৎপাদন ও চলাচল বৃদ্ধি করে। যা আমাদের হৃদপিন্ডের কার্যক্রম দ্রুত ও কার্যকরী করে তুলে। 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন রকমের উপকারী কাজ করে থাকে। এটি সাধারণত দেহের সকল অঙ্গকে জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয়। এতে দেহে কোনো রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। বাদামে পরিমাণ মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। 

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে 

স্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি সরবরাহ করে। তাছাড়া নিউরন উৎপাদন ও বণ্টনে এবং হরমোন তৈরিতে যে যে উপাদান প্রয়োজন তা বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। তাছাড়া এতে থাকা এল-কার্নিটাইন এবং রিবোফ্লাভিন কোষ বৃদ্ধি করে আমাদের মস্তিষ্কের গঠন পরিপুষ্ট করে। 

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে 

চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য যে সকল ভিটামিন ও মিনারেল উপাদান প্রয়োজন তা বাদামের মধ্যে পরিমিত মাত্রায় বিদ্যমান। বিশেষ করে এতে থাকা ভিটামিন ই দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সরাসরি কাজ করে। কারণ চোখের ঝিল্লি ও ম্যাকুলার রক্ষা করার কাজে ভিটামিন ই প্রয়োজন পরে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে 

বাদামে থাকা ভিটামিন ই, উচ্চ মাত্রার ফাইবার ও ফ্ল্যাভোনয়েড দেহে কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার সহ সকল ধরনের ক্যান্সার কোষ উৎপাদন ও প্রজনন রোধ করে। এই কারণে নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে তা শরীরে ক্যান্সার বিস্তারে বাঁধা তৈরি করে। 

ত্বক সুস্থ রাখে 

ত্বক সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্য প্রয়োজন হয় দেহে সঠিক পরিমাণে রক্ত চলাচলের। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরে রক্ত তৈরি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এতে ত্বকের মরা কোষ গুলো সতেজ হয় এতে কালো দাগ ও ময়লা দূর হয়। এছাড়া ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সর্বোপরি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে 

রক্ত দেহ সচল রাখার চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। বাদামে থাকা আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম রক্ত উৎপাদন বৃদ্ধি করে। এর পাশাপাশি শিরা-উপশিরা ও ধমনি সম্প্রসারিত করে রক্ত চলাচলের বাঁধা দূর করে। এতে হার্ট পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পায় এবং দেহের অন্যান্য জায়গায় পরিপূর্ণ পুষ্টি উপাদান সরবরাহ হয়। তাছার বাদামে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার হার্টের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে 

বাদামে থাকা চর্বি অনেক স্বাস্থ্যকর। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্ত উৎপাদন সহ এতে থাকা শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ বাদাম রক্তে থাকা শর্করা কমায় যা ইনসুলিন সমস্যা দূর করে। যে কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় থাকে। অর্থাৎ পরিমিত বাদাম খেলে আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

মধু 

মধু একটি সুপার ফুড। পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এই খাদ্য দেহের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কাজ করে। বিশেষ করে দেহের পরিপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠার পেছনে মধু অনেক কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে এতে প্রায় ৪৫ টির বেশি খাদ্য উপাদান থাকে। আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রে মধুকে মহৌষধ হিসেবে আখ্যায়িত করার পেছনে এই বিশাল পুষ্টি উপাদানগুলো জড়িত। 

মধুতে যথাক্রমে গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ, অ্যামিনো অ্যাসিড, মন্টোজ, খনিজ লবণ, আয়োডিন, কপার, জিংক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান সহ ভিটামিন  বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬ থাকে। নিচে মধু আমাদের দেহে কি কি প্রভাব ফেলে তা আলোচনা করা হলো। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে 

মধু এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান দেহের ভেতরে জীবাণু ও রোগ-বালাই প্রবেশ বন্ধ করে। পাশাপাশি দেহের ভেতরে থাকা জীবাণুর প্রজনন বন্ধ করে ধ্বংস করে দেয়। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

রক্ত উৎপাদন ও চলাচল বৃদ্ধি করে 

মধু ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ যা ম্যাগনেসিয়ামের সাথে আলাদা আলাদা ভাবে রক্ত উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাছাড়া এতে থাকা পুষ্টি উপাদান ধমনি প্রসারিত করে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। মধুতে থাকা আয়রন সরাসরি রক্তের উপাদান বৃদ্ধি করে যার ফলে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। 

ব্যথা উপশম করে 

ব্যথা ও প্রদাহ উপশমের জন্য সর্বপ্রথম আমাদের জীবাণু নির্মূল করতে হয়। তারপর সেই সকল স্থানে সঠিক পরিমাণে রক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে হয়। মধু রক্তের জোগান বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তা পরিষ্কার করে। দেহ থেকে টক্সিক কেমিক্যাল বের করে দেয় যা আমাদের শরীরের ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করা। 

শক্তিবর্ধক 

মধু দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখে যা শরীরের সকল ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক করে। এতে দেহ পর্যাপ্ত তাপ এবং শক্তি অর্জন করে। বিশেষ করে যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করতে মধুর কোনো জুড়ি নাই। তবে এতে থাকা খনিজ উপাদান দেহের স্পাইনাল গঠন উন্নত করে ও হাড় মজবুত করে। যা আমাদের শরীরের সর্বোপরি শক্তি বাড়ায়। 

হজমশক্তি বৃদ্ধি করে 

এটি পাকস্থলীতে হজম সহায়ক এনজাইম বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে মধুতে থাকা শর্করা উপাদান সহজেই হজম হয় ও ডেক্সট্রিন দ্রুত খাদ্য উপাদান ভেঙ্গে তা রক্তের মধ্যে পৌঁছে যায়। এতে পাকস্থলীর কার্যক্রম বৃদ্ধি পায় এবং কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়া পাচন প্রক্রিয়া চলতে থাকে। 

আসিডিটি দূর করে

মধুতে থাকা উপাদানগুলো পাকস্থলীতে প্রবেশের পর হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিঃসরণ বন্ধ করে। এতে পেটের ভেতরে থাকা অ্যাসিডিটি সহ বমিভাব, অরুচি ও বুকজ্বালা ইত্যাদি দূর হয়। এই কারণে বিশেষজ্ঞগণ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন। 

ত্বক উজ্জ্বল করে

ত্বকের যত্নে মধু দুই ভাবে ব্যবহার করা যায়। প্রথমত সরাসরি ত্বকে মাখিয়ে অথবা খালি পেটে খেয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। এটি ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করে এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এই কারণে ত্বক শুষ্ক না থেকে নরম ও সতেজ থাকে। অন্যদিকে মধু খাওয়ার ফলে রক্ত উৎপাদন ও চলাচল বৃদ্ধি পায় যা ত্বকের মরা কোষ ঠিক করে কালো দাগ দূর করে। 

তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে

দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য মধু অনেক কার্যকরী। বিশেষ করে শীতকালে মধু খেলে শরীর সহজে ঠাণ্ডায় কাবু হয় না। 

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মধুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাছাড়া এই উপাদান হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে হজম বৃদ্ধি করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও কোলোন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে। 

ফুসফুসের রোগ দূর করে

মধু সকল ধরনের ফুসফুসের সমস্যা যেমন হাঁচি, কাঁসি, শ্বাসকষ্ট, সর্দি ইত্যাদি সমস্যা নিরাময় করতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। ফুসফুসের সময় গরম পানির সাথে মধু খেলে অথবা বুকে ডলে দিলে তা আরামদায়ক হিসেবে কাজ করে। 

তারুণ্য বজায় রাখে

নিয়মিত মধু খেলে তা দীর্ঘ সময় যৌবন ও তারুণ্য ধরে রাখে। মূলত এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে দেহ সহজে অসুস্থ হয় না এবং বুড়িয়ে যাওয়া রোধ হয়। 

ওজন কমাতে সাহায্য করে

মধুতে কোনো প্রকারের চর্বি থাকে না। যে কারণে দেহের মধ্যে নতুন করে কোনো চর্বি জমা হয় না। এতে ওজন বৃদ্ধি পায় না। অন্যদিকে পর্যাপ্ত ক্যালোরি থাকায় দ্রুত খিদে লাগে না যা পরোক্ষভাবে আমাদের দেহের ওজন কমায়।  

দাঁতের ক্ষয়রোধ করে

মধুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকে। এগুলো হাড়ের গঠন ঠিক রাখে এবং সকল ধরনের ক্ষয়রোধ করে। এছাড়াও মধু খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও রুপচর্চায় ব্যবহার সম্পর্কে খুব সুন্দর ধারনা পাবেন আমাদের এই লেখায়।

কোন বাদামে প্রোটিন বেশি?

কোন বাদামে প্রোটিন বেশি?

বাদাম মাত্রই প্রোটিনের ও ফাইবারের সমাহার। এখানে প্রচলিত কোন কোন বাদামে কি পরিমাণ প্রোটিন বিদ্যমান সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

চিনা বাদাম

চিনা বাদামে প্রতি আউন্সে প্রায় ৭ গ্রাম প্রোটিন ও ১৬ ক্যালরি পাওয়া যায়। প্রোটিন বিবেচনায় সব থেকে বেশি প্রোটিন উপস্থিত আছে চিনা বাদামে। 

কাজু বাদাম

সুস্বাদু কাজু বাদামে প্রতি আউন্সে প্রায় ৫ গ্রাম প্রোটিন ও ১৫৭ ক্যালরি থাকে।

পেস্তা বাদাম 

সবুজ রঙের পেস্তা বাদামে প্রতি আউন্সে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ১৫৯ ক্যালরি পাওয়া যায়। 

আখরোট

ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ আখরোটে প্রতি আউন্সে প্রায় ৪ গ্রাম প্রোটিন ও ১৮০ ক্যালরি থাকে। 

কাঠবাদাম

চমৎকার দেখতে ও মজাদার স্বাদযুক্ত প্রতি আউন্সে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ১৬৪ ক্যালরি পাওয়া যায়। মোটকথা প্রতিটি বাদামেই যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার ও ক্যালোরি বিদ্যমান। 

দিনে কতটুকু মিশ্র বাদাম খেতে হয়?

প্রতিদিন কত পরিমাণে মিশ্র বাদাম খাওয়া জরুরি তা নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য, অ্যালার্জি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদি আছে কিনা তার উপর। যদি এই সকল সমস্যা থেকে থাকে তবে আপনাকে বাদাম পুরোপুরি পরিহার করতে হবে। 

তবে আপনি যদি সুস্থ থাকেন এবং অপুষ্টি সমস্যায় ভুগে থাকে তবে পুষ্টিবিদের মতে দিনে ৩০ গ্রাম মিশ্র বাদাম খেতে পারবেন। এখানে অবশ্যই আপনার ডায়েটের সাথে পরিমাণের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। অন্যদিকে, বেশি খেয়ে ফেললে তা আমাদের স্বাস্থ্য উন্নত করার পরিবর্তে আরও খারাপ পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে পারে। 

মিশ্র বাদাম খাওয়া ভালো?

জি, অবশ্যই মিশ্র বাদাম খাওয়া ভালো। তবে অবশ্যই কিছু কিছু বিষয়ের দিকে আপনাকে নজর দিতে হবে যা নিচে দেওয়া হলো। 

পুষ্টি উপাদান 

মিশ্র বাদামে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে। যার সবগুলো সবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। অতিরিক্ত পুষ্টিগুণের কারণে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই কারণে অবশ্যই হিসেব করে এবং পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওার পর মিশ্র বাদাম খাওয়া উচিত। 

ডায়াবেটিস 

শরীরে ডায়াবেটিস থাকলে মিশ্র বাদাম পরিহার করা উচিত। এতে থাকা শর্করা সহ পুষ্টি উপাদান হিতে বিপরীত ঘটানোর সম্ভাবনা বেশি। 

রক্তে চর্বি 

রক্তে চর্বি থাকলে মিশ্র বাদাম তা বৃদ্ধি করতে কাজ করবে। যা আমাদের হৃৎপিণ্ড সহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। 

অ্যালার্জি 

শরীরে অ্যালার্জি সমস্যা থাকলে অবশ্যই বাদাম তথা মিশ্র বাদাম খাওয়া যাবে না। 

অতিরিক্ত ওজন 

মিশ্র বাদাম দেহের ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। বিশেষ করে বেশি পরিমাণে খেলে তা দেহে চর্বি বৃদ্ধি করে যা আমাদের ওজন বাড়ায়। 

ডায়েট 

আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট ও শক্তিশালী ডায়েট প্লানে থেকে থাকেন তবে আপনার মিশ্র বাদাম খাওয়া যাবে না। 

উপরিউক্ত আলোচনায় আমরা বাদাম ও মধু সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করলাম। তাছার মিশ্র বাদাম কীভাবে আমাদের বিভিন্ন উপকারে আসে এবং কখন এই খাবার খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে জানলাম। এখানে মিশ্র বাদাম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না মন্দ সেই বিষয়ে বিস্তারিত একটা খুব ভালো পেলাম। আশাকরি লেখাটি পরে হানি নাট, মিক্স নাট ও ড্রাই ফুড সম্পর্কে আপনার ধারণা স্পষ্ট হয়েছে। 

Bornali Akter Borno

Bornali Akter Borno is a passionate food enthusiast and entrepreneur. From an early age, her love for culinary exploration led her to experiment with flavors and ingredients, ultimately inspiring her to work with Binni Food, an e-commerce brand dedicated to offering premium quality Organic Food and delectable treats to food enthusiasts in Bangladesh. Bornali's relentless pursuit of flavor and commitment to excellence have earned her recognition in the culinary world. Her journey is a testament to the power of passion and perseverance, showcasing how dedication to one's craft can lead to entrepreneurial success and culinary innovation.