হলুদ ছাড়া তরকারি রান্না অধিকাংশ বাঙ্গালী চিন্তাই করতে পারেন নাহ। তবে হলুদ কি শুধুই তরকারির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে? নাহ! হলুদ তরকারির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের শরীরের জন্যও অনেক উপকারি।
- হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামের একটি রাসায়নিক উপাদান । এই উপাদানের রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহনাশক ক্ষমতা।
- হলুদ রক্তের কোলেস্ট্রেরল নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।
- হলুদ আথ্রাইটিস এর ব্যাথা নিরাময়ে সাহায্য করে।
- হলুদে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- হলুদ খেলে নিয়মিত পিরিয়ড নিশ্চিত থাকে। সেই সাথে পিরিয়ড এর ব্যাথা কমাতেও হলুদ বেশ কার্যকরি।
- হলুদ হজমের সমস্যা দূর করে।
- বিভিন্ন ক্ষত নিরাময়ে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রোমন থেকে বাচতে হলুদ বেশ উপকারি।
ত্বকের যত্নে হলুদ গুঁড়া
- এক গ্লাস গরম দুধের সাথে সামান্য হলুদ গুড়া মিশিয়ে খেলে এটি ভালো ঘুমের জণ্য উপকারি,এবং সেই সাথে এসিডিটি কমাতে এবং ব্রনের সমস্যা কমাতেও এটি কার্যকরি।
- এক চামচ বেসন, গোলাপজল এবং হলুদ গুড়া মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে এটি ত্বকের উজ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- হলুদের গুড়ার সাথে সামান্য লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে এটি ত্বকের উজ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- হলুদ রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। নিয়মিত দুধের সাথে হলুদ খেলে এটি রক্ত পরিষ্কার করে ত্বক কে উজ্বল রাখতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও হলুদ গুড়া এবং মসুরের ডাল পেষ্ট করে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে ।
- চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার জণ্য হলুদ গুড়া এবং টমেটোর রস ব্যবহার করতে পারেন।
যেভাবে তৈরী করা হয় এই হলুদ গুঁড়া
প্রান্ত্রিক কৃষকদের কাছ থেকে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে এই হলুদ সংগ্রহ করে থাকি। এর পর হলুদ গুলো বাছাই করে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে রোদে শুকানো হয়। পর্যাপ্ত পরিমানে রোদে শুকানোর পর হলুদ গুলোকে আবারো বাছাই করা হয়, এবং একটি সয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে এই হলুদ গুলোকে ভাঙ্গানো হয়ে থাকে। এরপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজস্ব কর্মী দ্বারা হলুদ গুঁড়া গুলো প্যাকেজিং করা হয়।
বিন্নি ফুডের হলুদ গুঁড়া র বিশেষত্ব্য
- বাছাইকৃত সেরা মানের হলুদ দিয়ে আমাদের এই প্রিমিয়াম হলুদ গুঁড়া তৈরি করা হয়।
- নিজস্ব তত্বাবধানে এই হলুদ গুঁড়া পরিষ্কার ভাবে শুকানো হয়, এবং গুঁড়া করা হয়।
- বাজারের হলুদে অনেক ভেজাল মিশ্রন থাকে। অনেক সময় বুনো হলুদ বা শটি গাছ ব্যবহার করেও হলুদের গুঁড়া র মতো গুঁড়া তৈরি করা হয়। কিন্তু আসল হলুদের গুঁড়া এবং বুনো হলুদের গুঁড়া র মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। বুনো হলুদের কালার বা গন্ধ কোণোটাই আসল হলুদের মতো নাহ। এই বুনো হলুদের গুঁড়া র সাথে আসল হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ভেজাল হলুদ গুঁড়া তৈরি করা হয়। অনেক সময় মাছের খাদ্য কিংবা ইটের গুঁড়া মিশিয়েও ভেজাল হলুদ গুঁড়া তৈরি করা হয়। যা খাবারে ব্যবহার করে উল্টো খাবারের স্বাদ নষ্ট হয় এবং আমাদের শরীরের জন্যও এটি অনেক ক্ষতিকর।
- আমাদের হলুদ গুঁড়া সম্পুর্ন ভেজাল বা মীশ্রনমুক্ত। তাই আপনি পাবেন ১০০% ভেজালমুক্ত প্রডাক্টের নিশ্চয়তা।
আপনার কেনা হলুদ গুঁড়া ভেজাল কিনা বুঝবেন কীভাবে?
- এক গ্লাস পানির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই হলুদ গুঁড়া পরিক্ষা করতে পারেন। প্রথমে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এরপর কিছুক্ষন পরে এই পানি চেক করুন, যদি পানির কালার কিছুটা হলদেটে দেখা যায় এবং গ্লাসের নিচে কিছু হলুদ জমা হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটি আসল হলুদ গুঁড়া । আর যদি সমস্ত হলুদ একসাথে মিক্সড হয়ে থাকে এবং পানির কালার যদি উল্টো ঘন বাদামি হয়ে থাকে তাহলে এটি ভেজাল মিশ্রিত হলুদ গুঁড়া ।
- হাতের তালুতে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া নিতে হবে, এরপর অণ্য হাতের আঙ্গুল দিয়ে এই হলুদ গুঁড়া হাতে মিক্সড করতে হবে। ১৫ /২০ সেকেন্ড হাতের তালুতে এই হলুদ গুঁড়া মিক্সড করার পর যদি হাতে হলদেটে দাগ তৈরী হয় তাহলে এটি খাটি হলুদ গুঁড়া ।
- অনেক হলুদ গুঁড়া তে ক্রোমেট নামক ভেজাল মিশ্রন ব্যবহার করা হয়। এতে করে হলুদ গুঁড়ার কালার অনেক বেশি উজ্বল দেখাবে। তাই অতিরিক্ত বাদামি বা হলদেটে বর্নের হলুদ গুঁড়া কেনা থেকে বিরত থাকুন।