বাংলাদেশ অথবা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালিদের কাছে খুব পরিচিত এবং পছন্দের খাবারের নাম হলো আমসত্ব। আমসত্বের সাথে আমাদের পরিচয় টা সেই ছোটবেলা থেকেই। একটা সময় ছিল যখন স্কুলে ক্লাশের ফাকে সময় পেলেই স্কুলের পাশের সেই ছোট্ট দোকান টা থেকে মাত্র এক অথবা দুই টাকার বিনিময়ে আমসত্ব কিনতাম। সেই সময়ে দোকানে কেনা সেই আমসত্ব অথবা নানী/দাদি কিংবা মা’র হাতে বানানো সেই আমসত্বের টেস্টের কথা মনে হলে একদম নস্টালজিক হয়ে যাই।
এখন সময় পাল্টিয়েছে , সেই সাথে আমসত্বের টেস্ট টাও। এখন আর বাজার থেকে কিনে আনা আমসত্বে আগের প্রিমিয়াম এবং খাটি টেস্ট পাওয়া যায় না বললেই চলে। কি ভাবছেন? তাহলে এখন উপায় কি? এবং কিভাবেই বা আপনারা সেই পুরন স্বাদের আমসত্ব খাবেন?
আপনাদের কথা চিন্তা করেই , পুরনো সেই আমসত্বের টেস্ট কে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে উপস্থাপনের লক্ষ্য নিয়েই এইবার, আমাদের বিন্নিফুডের নতুন সংযোজন “আমসত্ব”। টক,ঝাল মিষ্টি স্বাদের এই আমসত্ব আপনাকে মনে করিয়ে দেবে শৈশবের সেই পুরনো স্মৃতি। তার আগে চলেন জেনে নেই আমসত্ত্ব কি, আর কিভাবে তৈরি করা হয়। এরপর ভালো মানের ও ফ্রেস আমসত্ত্ব অর্ডার করে টেষ্ট করবেন।
আমসত্ত্ব কি?
আমসত্ত্ব হলো আম থেকে তৈরি মিষ্টিজাতীয় খুবই মজার একটি খাবার। যা ভারত সহ আমাদের দেশে সবার কাছে জনপ্রিয়। অনেকেই এই আমসত্ত্ব কে Aam papad বলে থাকে। আবার অনেকেই চিনে ম্যাংগোবার (Mango Bar)।
মুলত পাকা আমের রসালো অংশ দিয়েই আমসত্ব বানানো হয়ে থাকে। তবে আমের মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও আপনি আমসত্বের মাধ্যমে সারা বছর আমের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। আমসত্ব মূলত মিষ্টি আইটেম। তবে আমাদের এই আমসত্বের টেস্ট টাকে আরোও বাড়ানোর জন্য এটাতে টক ,ঝাল মিষ্টি স্বাদের তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে নরমাল আমসত্বের চেয়ে এই আমসত্বে পাবেন এক নতুন অনন্য স্বাদ।
আমসত্ত্ব তৈরির উপকরন
- ভালো মানের রসালো পাকা আম,
- লবন,
- মরিচের গুড়া,
- আঁচারের অনেক ধরনের মসলা,
- ব্রাউন সুগার এবং
- খাটি সরিষার তেল ইত্যাদি।
টক ঝাল মিষ্টি শুকনো আমসত্ব রেসিপি
আমসত্ব তৈরি করার জন্য আমরা মূলত পাকা এবং ফ্রেশ আশ মুক্ত, রসালো আম গুলোকে বাছাই করা হয়। এরপর আমগুলোকে ভালো ভাবে ধুয়ে নিয়ে সেগুলো কে কেটে আমের পাল্প বা রস তৈরি করা হয় । এরপর কড়াইতে সরিষার তেল গরম করে এতে একে একে সমস্ত উপকরন মিশিয়ে নেওয়া হয়। তারপর এতে এড করা হয় পাকা আমের পাল্প বা রস এবং ব্রাউন সুগার। এরপর ঘন না হওয়া পর্যন্ত আমের রস গুলোকে ভালো ভাবে জ্বাল দেওয়া হয় ও নাড়াচারা করা হয়। এরপর এটি ঘন হয়ে আসলে, আগে থেকে তেল মাখিয়ে রাখা একটি পরিষ্কার ট্রে তে ঢালা হয়।
এরপর এটাকে সমান ভাবে ছড়িয়ে নিয়ে কমপক্ষে ২/৩ দিন কড়া রোদে শুকাতে হয়। এরপর এটি শুকিয়ে এলে পিস আকারে কেটে বয়ামে রাখা হয়। ব্যাস প্রস্তুত হয়ে গেল আপনাদের পছন্দের টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের শুকনা আমসত্ব। এরপর এই শুকনো আমসত্ত্ব অনেক ধরনের মশলা সহ সরিষার তেলে জ্বাল করে একটু গ্রেভি করেও আঁচার তৈরি করা যায়। যা আরো মজার প্রিমিয়াম কোয়ালিটির হয় আর স্বাদও প্রচুর।
বিন্নি ফুডের আমসত্বের বিশেষ্বত্য
বাজারে অনেক দোকানেই আপনি চাইলে আমসত্ব কিনতে পারবেন , কিন্তু তা সর্ত্বেও আমাদের আমসত্ব আপনি কেন কিনবেন? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আমাদের আমসত্বের বিশেষত্য
✅ সাধারনত এক কেজি আমসত্ব তৈরিতে আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ কেজি আমের প্রয়োজন হয় । এক্ষেত্রে আমরা সবসময় বাগানের সেরা এবং বাছাইকৃত আম দিয়েই এই আমসত্ব তৈরি করা থাকি।
✅ সম্পূর্ন স্বাস্থ্যকর এবং ঘরোয়া পরিবেশে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আমাদের এই আমসত্ব তৈরি করা হয়। এতে কোয়ালিটি কন্ট্রোল নিজেদের হাতে থাকে। তাই আচারের কোয়ালিটি শতভাগ নিরাপদ ও বেস্ট।
✅ কোনো প্রকার ফুড কালার অথবা প্রিজারভেটিভস ব্যবহার করা হয় না।
✅ আমসত্ব তৈরিতে আমাদের বিন্নি ফুডের স্পেশাল খাটি সরিষার তেল ব্যবহার করা হয় যা আমসত্বের টেস্ট কে দ্বিগুন বাড়িয়ে দেয়।
✅ আমাদের আমসত্বে কোনো হোয়াইট সুগার অথবা টেস্টিং সল্ট, কিংবা ভিনেগার ব্যবহার করা হয় না। তাই খাটি ও নিরাপদ।
✅ এই আমসত্ত্ব তৈরি প্রসেস অনেক কঠিন ও ঝামেলাযুক্ত। কোন উপকরন কম বেশী বা রোদে বা বিশেষ প্রক্রিয়ায় শুকনোর কোন সমস্যা হলে সুস্বাদু ও কোয়ালিটিফুল হবে না। তাই আমরা বিন্নি ফুড অনেক যত্ন ও সব দিক খেয়াল রেখে সঠিক ও বেস্ট কোয়ালিটির আচার তৈরি করার পর তা টেষ্ট করেই আপনাদের ঘরে পৌছে দেয়ার জন্য হোম ডেলিভারি করে থাকি।
✅ আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ফ্রেশ এবং খাটি খাবার প্রতিটি ঘরে পৌছে দেয়া। তাই স্বাস্থ্যকর এবং নির্ভেজাল খাবারের টেস্ট পেতে চাইলে আমাদের এই আমসত্বই হবে আপনার বেস্ট চয়েজ।
আমসত্ত্ব খাওয়ার উপকারিতা
✅ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
✅ খাবারের রুচি বাড়ায়।
✅ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
✅ এতে আছে অমেগা ফ্যাটি এ্যসিড যা আমাদের ত্বকের জন্য উপকারি।
✅ এছাড়া এতে আছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই, যেটি আমাদের শরিরের জন্য উপকারী।
✅ রক্তের সমস্যা দূর করে।
সংরক্ষন পদ্ধতি
আমসত্ব হাতে পাওয়ার পরে রোদে দিতে হবে। এরপর এয়ার টাইট ফুড গ্রেট বক্সে অথবা কাচের বয়ামে সংরক্ষন করতে হবে। দীর্ঘদিন সংরক্ষন করার জন্য এটিকে ফ্রিজে রাখতে পারেন অথবা মাঝে মাঝেই রোদে দিয়ে খাটি সরিষার তেল দিয়ে নিবেন।
আচার রোদে কেন দিবেন?
যেহেতু আমাদের আচার গুলো ঘোরোয়া ভাবে তৈরি করা হয় ও ন্যাচারাল। তাই আমরা কোন কেমিক্যাল,ফুড কালার, প্রিজারভেটিভস ব্যবহার করি না। এমনকি ভেনেগার ও ব্যবহার করা হয় না। তাই খাটি ও নিরাপদ আচার সারা বছর রাখতে হলে তা রোদে বা ফ্রিজে রাখে খেতে হয়। এতে আচারের পুষ্টিগুন ও সঠিক মান বজায় থাকে।