আচারের মধ্য সবচেয়ে লোভনীয় একটি আচার হলো তেঁতুলের আচার। তেঁতুল Tamarindus গণের অন্তর্ভুক্ত একটি টক ফল। তেঁতুলের নাম শুনলেই অনেকের জিভে পানি এসে যায়। কাচা অবস্থাতেই এই ফলটি খেতে অত্যান্ত লোভনীয়। তারউপর যদি বিভিন্ন মশলার পার্ফেক্ট কম্বিনেশনে মজাদার টক, ঝাল মিষ্টি আচার তৈরি করা যায় তাহলে তো কোনো কথায় নেই। আচার প্রেমীদের জণ্য এর থেকে পার্ফেক্ট আচার আর কি হতে পারে!
সম্পুর্ণ ভেজাল্মুক্ত, এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি আমাদের এই আচার আপনার খাবারের টেষ্টে আনবে এক নতুনত্বতা। খিচুরি, গরম ভাত,বিরিয়ানি কিংবা সস অথবা চাটনির বিকল্প হিসেবে পুরি, সিঙ্গারা,পরটার সাথে দারুন জমবে এই তেঁতুলের আচার। সেই সাথে যেহেতু আমাদের আচার গুলো সম্পুর্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় তাই বাড়ির তৈরি আচার বা সেই ছেলেবেলার মা, নানির হাতে তৈরী আচারের স্বাদ পাবেন অনেকটাই। বাজারে বানিজ্যিক উদ্দেশ্য তৈরি করা আচার গুলোর চেয়ে আমাদের হোম মেইড আচার ১০০% গুনে এবং মানে সেরা এটার নিশ্চয়তা আমরা দিচ্ছি। কারন সম্পূর্ন ঘরোয়া পরিবেশে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক যত্ন সহকারে এই আচার গুলো তৈরি করা হয়।
আমাদের তেঁতুলের আচারে কোনো প্রকার প্রিজারভেটিভস , এক্সট্রা কালার, টেস্টিং সল্ট অথবা ভিনেগার ব্যাবহার করা হয় নাহ। অনেকেই কিন্তু তেতুল নিয়ে ভ্রান্ত ধারনা রাখেন যে, তেতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়। কিন্তু এটি একদম ভূল ধারনা বরং তেঁতুল আমাদের জন্য অনেক উপকারি এবং লোভনীয় খাবার। তাহলে আর দেরি কেনো? এক্ষুনি অর্ডার করুন আর উপভোগ করুন মজার স্বাদের এই তেঁতুলের আচার।
তেঁতুলের আচার কিভাবে তৈরি হয়?
তেতুলের আচারের প্রধান উপকরন টাই হলো তেঁতুল। প্রথমে তেঁতুল গুলোকে বেছে নিয়ে পরিষ্কার করা হয় এবং পানিতে ভিজিয়ে রেখে এটিকে কচলিয়ে ক্লাথ তৈরি করে নেওয়া হয়। এরপর ফ্রাইপেনে সরিষার তেল গরম করে নিয়ে এরপর একে একে রসুন কুচি,আদা কুচি, শুকনো লংকা, লবন সহ সকল মশলা এড করে কষিয়ে নেওয়া হয়।ভালোভাবে কষানো শেষে এতে তেঁতুলের ক্লাথ এড করা হয়।কিছুক্ষন জ্বাল করার পরে , তেঁতুলের ঘনত্ব গাড় হয়ে শুরু করলে এতে চিনির সিরকা এড করতে হবে। নামানোর পুর্ব মুহুর্ত্বে এতে এড করা হয় ধনিয়া গুড়া,জিরা গুড়া এবং আমাদের কিছু সিক্রেট মশলা যা আচারের টেস্ট কে বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুন।
তেতুলের আচারের গুনাবলি
- তেতুলের উপস্থিত ফ্ল্যাভরনয়েড ব্যাড কোলেস্টেরল কমাতে এবং গুড কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
- তেঁতুলে রয়েছে টারটারিক এসিড, পটাশিয়াম এবং ম্যালিক এসিড যা হজমশক্তি বাড়াতে এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- তেঁতুলে Alpha- Amylase নামের একপ্রকার এনজাইম রয়েছে যা আমাদের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।।
- তেঁতুলে রয়েছে ভিটামিন সি, যা আমাদের ত্বক এবং চুল সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
- তেঁতুল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে।
- মেদ কমাতে সাহায্য করে।
- তেঁতুল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- তেঁতুল পেপটিক আলসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- তেঁতুল আমাদের শরির থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে সাহায্য করে।
তেঁতুলের আচার সংরক্ষন পদ্ধতি
- দীর্ঘ দিন সংরক্ষনের জন্য এটিকে কাঁচের বয়ামে রাখতে হবে।
- আচারের বয়াম স্যাতসেতে জায়গায় রাখা যাবে না।
- মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে রোদ্রে দিতে হবে।
- আচারের বয়াম টির ঢাকনা ভালো ভাবে লাগিয়ে রাখতে হবে যেন বাতাস প্রবেশ না করে।
- হাত দিয়ে অথবা ভেজা চামুচ দিয়ে আচার তোলা যাবে না।