বগুড়ার দই | Premium Yogurt
550
স্বাদে অতুলনীয় ও ঐতিহ্যবাহী বগুড়ার দই, যা দেশ বিদেশে প্রসিদ্ধ। খাঁটি দুধ ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এই দই তার মসৃণ ও ঘন টেক্সচার এবং সুস্বাদু মিষ্টি স্বাদের জন্য বিখ্যাত। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর এই দই আপনার খাবারকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে।
Description
বাংলাদেশের প্রায় সকল স্থানেই কমবেশী দই (Yogurt) তৈরি হয়। তাহলে শুধু বগুড়ার দই টাই কেন এতো বিখ্যাত? বগুড়ার দই য়ে কি তাহলে দুধের সাথে আলাদা কোনো সিক্রেট উপাদান আছে?
কোনো অঞ্চলের বিখ্যাত খাবার সেই এলাকার সাথে সামগ্রিকভাবে যুক্ত। এমনকি ঐতিহ্যের ও অংশ বটে! ঠিক তেমনি হলো এই বগুড়ার দই । বিখ্যাত কিছু দই কারিগরদের মতে, আবহাওয়া, পরিবেশ,, গবাদিপশুর খাবার এবং কিছু গুপ্ত রেসিপিই হলো এই মজাদার দই তৈরির আসল রহস্য। এছাড়া বগুড়ার দই তৈরিতে প্রতিটি পর্যায়ে বিশেষ পদ্ধতি অনুসরন করা হয় এবং মান নিয়ন্ত্রনেও বগুড়ার দই কারিগর রাই সেরা। মূলত বগুড়াতে দই বানিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিলো ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই। কিন্তু দেশ ভাগের পূর্বেও সেই মোঘল আমলের শেষ , এবং ব্রিটিশ আমলের সূচনা লগ্ন থেকেই কিন্তু এই দই বেশ জনপ্রিয় ছিলো। এমনকি ষাটের দশকের প্রথম দিকে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ থেকে শুরু করে মার্কিন মুল্লুকেও খ্যাতি ছড়িয়েছে এই দই।
বগুড়ার দই বানানোর রেসিপি
বগুড়ার দই তৈরি করার প্রক্রিয়া অনেক বছর গোপন থাকলেও বর্তমানে এই রেসিপি কারিগরেরা সবার সাথেই শেয়ার করে। যে কারণে আপনি নিজস্ব বা বাণিজ্যিকভাবে এই দই তৈরি করতে পারবেন। বগুড়ার দই তৈরি করার প্রক্রিয়া হিসেবে প্রথমে গরুর খাঁটি দুধ সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে সেই দুধ এক বিশাল কড়াইয়ে দিয়ে তার সাথে চিনি মিশিয়ে তানা ৫ ঘণ্টা জ্বাল দেওয়া হয়।
জ্বাল দেওয়ার সময়ে বড় হাতা দিয়ে ঘন ঘন নেড়ে দেওয়া হয়। এতে দুধ যেমন চিনির সাথে বেশি ভাল করে মিশ্রিত হয় তেমনি কড়াইয়ের গায়ে পোড়া লেগে যায় না। দুধ যে পর্যন্ত লালাভ বর্ণের না হয় ঠিক সে পর্যন্ত জ্বাল দিয়ে তা ছোট ছোট মাটির সরা বা হাঁড়িতে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি চুলার চারপাশে সাজিয়ে রাখা হয় এবং বিশালাকার বাঁশের তৈরি ডালা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
এভাবে ঢাকা অবস্থায় ৮ ঘণ্টা রাখা হয়। তারপর ডালা গুলো তুলে প্রতিটি দইয়ের সরাতে পুরোনো দই দেওয়া হয়। এতে দইয়ে ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হয় এবং দুধ জমাট বাঁধতে থাকে। তারপর পুনরায় সরা গুলো ঢেকে আরও কয়েক ঘণ্টা রাখা হয়। সবমিলিয়ে দই তৈরি করতে সময় লাগে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টার মত। এই কারণে দইয়ের কারখানায় দই তৈরি করে তা বেশি সুস্বাদু হওয়ার জন্য পুরো রাত রাখা হয় এবং ফজরের দিকে তা সাপ্লাই করা হয়।
বগুড়ার দই খাওয়ার উপকারিতা
♢ ওজন কমায়
♢ পেটের সমস্যা দূর করে
♢ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
♢ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেত্বক উজ্জ্বল করে
♢ দাঁত ও হাড় মজবুত করে
♢ উদ্বিগ্নতা কমায়
♢ হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে
♢ ক্যানসার প্রতিরোধ করে
♢ ছত্রাক প্রতিরোধ করে