আচার এমন একটি খাবার যেটি যেকোনো বয়সি মানষের কাছেই অনেক বেশি পছন্দনীয়। তবে আপনি যদি ডায়েবেটিকস অথবা হাই প্রেসারের সমস্যায় ভূগে থাকেন তাহলে নিশ্চয় যেকোণো মিষ্টি খাবারের পাশাপাশি মশলাদার আচার আইটেম ও নিজেদের খাবার লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছেন অনেক আগেই।
তবে বাংলার বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন নিষিদ্ধ জিনিসে বরাবরই মানুষের আকর্ষন বেশী। ঠিক এই কা্রনেই হয়তো ডায়াবেটিকস বা হাইপ্রেশার রুগিদেরই ও মজাদার আচার কিংবা মিষ্টি খাবারের প্রতি আকর্ষন সবচেয়ে বেশি। তবে মন সায় দিলে শরীর যেনো সায় দিতে চায় নাহ। তাইতো বাজারে ডায়েবেটিকস রোগিদের জন্য সুগার ফ্রি দই এবং মিষ্টি বর্তমানে এভ্যাইলেবল। কিন্তু ডায়েবটিক্স স্পেশাল আচার কি খেয়েছেন কখনো?
একবার ভেবে দেখুন তো যদি আপনি এমন কোনো আচারের সন্ধান পান যেটি আপনার আচারের অমায়িক স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ দেবে সেই সাথে আপনার ডায়েবেটিকস এবং হাইপ্রেশার নিয়ন্ত্রনেও সাহায্য করবে। কী ভাবতেই অবাক লাগছে? অবাক হলেও এটাই সত্যি। ডায়াবেটিকস এবং হাইপ্রেশার রুগিদের কথা চিন্তা করে বিন্নি ফুড টক মিষ্টি স্বাদের গাছ পাকা তেতুল থেকে তৈরি করেছে মজাদার স্বাদের গুটি আচার।
তেঁতুলের গুটি আচার কি?
তেঁতুলের আচার তো আমরা সকলেই খেয়েছি। তবে গুটি আচারের নাম কিন্তু আমরা অনেকেই শুনি নি। মূলত বিচি সহ তেতুল এবং নানা রকম মশলা সংমিশ্রনে তৈরি হয় এই আচার এবং হাতের সাহায্য দলা বা মুঠি পাকিয়ে রাউন্ড/ গোল শেইপ করে এই আচার গুলো সংরক্ষন করা হয় জণ্য এটি গুটি আচার নামে পরিচিত। সাধারন তেঁতুলের আচার ঘন গ্রেভি আচার হয়ে থাকে , এবং গুটি আচার কিছুটা শুকনো হয়ে থাকে। অন্যদিকে সাধারন যেকোনো ফলের তৈরি আচারে চিনি বা গুড় ব্যবহার করা হয় যা ডায়েবেটিকস রুগি রা খেতে পারে নাহ। কিন্তু বিন্নি ফুড স্পেশাল তেঁতুলের গুটি আচারে কোনো রকম চিনি কিংবা গুড় ব্যবহার করা হয় নাহ।এটি সম্পূর্ন্য জিরো ক্যালরি, ফলে খুব সহজেই হাইপ্রেশার কিংবা ডায়েবেটিকস রুগি রা এটি খেতে পারেন।
তেঁতুলের গুটি আচার তৈরির উপকরণ
- পাকা তেঁতুল
- খাটি সরিষার তেল
- জিরা গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- আস্ত পাচফোরন
- তেজপাতা
- মৌরিআদা বাটা
- আস্ত রসুন কোয়া
- লবন
তেঁতুলের গুটি আচার প্রস্তুত প্রণালী
আচার তৈরি এর জণ্য প্রথমে গাছপাকা সেরা মানের তেঁতুল সংগ্রহ করে বাছাই করে নেওয়া হয়। এরপর তেঁতুল গুলো ভালো ভাবে খোসা ছাড়িয়ে বেছে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়, এবং তেতুলের সাথে সামান্য পানি মিক্সড করে ঘন ক্লাথ তৈরি করে নেওয়া হয় ।এবার কড়ায়ে পরিমান মতো সরিষার তেল গরম হলে এতে, একে একে সমস্ত মশলা গুলো মিক্সড করা হয়। মশলা কষানো শেষে এতে তেতুলের ঘন ক্লাথ দিয়ে মিক্সড করা হয়। অল্প তাপে পরিমান মতো জ্বাল দেওয়ার পরে তেতুলের ঘন আচার তৈরি হয় এরপর আচার গুলো সামান্য রোদ শেষে হাতের তালুর সাহায্যে রাউন্ড শেপে কাচের বয়ামে সংরক্ষন করা হয়।
এই আচারের বিশেষত্ব্য
- সম্পূর্ন চিনি মুক্ত আচার
- আচারে ব্যবহার করা সরিষার তেল, জিরা গুড়া, মরিচ গুড়া এবং ধনিয়া গুড়া বিন্নি ফুডের নিজস্ব তত্বাবধানে তৈরি করা। তাই আচারের কোয়ালিটি থাকবে অক্ষুন্ন।
- সম্পূর্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি এবং মান নিয়ন্ত্রিত আচার।
- প্রাচীনকাল থেকেই ডায়েবেটিকস কমাতে তেঁতুল খাওয়া হয়। তাই তেঁতুলের এই মজাদার টক , ঝাল আচার একদিকে আপনার ডায়েবেটিকস এবং হাইপ্রেশার নিয়ন্ত্রনে রাখবে সেই সাথে মজাদার আচারের স্বাদ টাও ফিরিয়ে দিবে।