You are currently viewing খেজুর গুড় এর নানা দিক এবং আসল খেজুর গুড় চেনার উপায়

খেজুর গুড় এর নানা দিক এবং আসল খেজুর গুড় চেনার উপায়

মৌসুম এখন শীতকাল। আর শীতকাল মানেই পিঠাপুলি তৈরির এক মহা উৎসব । যদিও বাঙ্গালি মানেই ১২ মাসে ১৩ পার্বন। সারা বছরই মিষ্টি প্রেমি বাঙ্গালিদের খাবারের তালিকায় থাকে নানা রকমের পিঠা। তবে শীতকালে যেনো এই পিঠা তৈরির আমেজ বেড়ে যায় বহুগুনে, শীতের সকালে ধোয়া উঠা মায়ের হাতের পিঠা না খেলে যেনো আমাদের কিছু অপূর্নতা থেকেই যায়।

শীতকালে পিঠা তৈরিতে বা যেকোনো মিষ্টান্ন তৈরিতে বাঙ্গালিদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে গুড়। গুড় দিয়ে তৈরি করা যেকোনো পিঠা খেতেও যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি ঘ্রানেও অতুলনীয়। আমাদের দেশে সাধারনত দুই ধরনের গুঁড় পাওয়া যায়। একটি হলো আখের গুড় এবং আরেকটি হলো খেজুর গুড়।

আখের গুড় সারাবছর পাওয়া গেলেও খেজুর গুড় পাওয়া যায় একমাত্র শীতকালে। তবে আপনি যদি ফ্রিজে ভালো মতো সংরক্ষন করতে পারেন তবে সারা বছর জুরে খেতে পারেন এই খাটি খেজুরের গুঁড়। তাই রসনা বিলাসিদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে খেজুর গুড়। খেজুর গুড়ের নিজস্ব রং এবং ঘ্রান এর কারনেই এটি অনান্য যেকোনো গুড়ের থেকে বহুল জনপ্রিয়। 

এই গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমানে মিনারেল,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম,জিংক,ম্যাঙ্গানিজ সহ আরো অনেক পুষ্টিউপাদান যা আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম মজবুদ করে, শরীর কে ডিটক্স করে এবং সেই সাথে রক্ত পরিষ্কার করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

খেজুরের রস


খেজুর গুড় তৈরি করা হয় খেজুরের রস থেকে। বাংলার অগ্রাহায়ন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সময়ে খেজুর গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় খাটি খেজুর রস। এরপর এই খেজুর রস কে আগুনের উত্তাপে রেখে তৈরি করা হয় গাড় এবং ঘন পাটালিগুড়।  অবশ্য পাটালি গুড় বাদেও এই খেজুরের রস থেকে তৈরি করা হয় ঝোলা গুড়, দানা গুড় এবং চিটাগুড়। তবে পাটালি গুড় এবং ঝোলা গুড়ের ব্যবহার টাই বেশি জনপ্রিয়।

খেজুর গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমানে হিমোগ্লোবিন যা আমাদের রক্তসল্পতার সমস্যা দূর করে,  এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট বা গ্লূকোজের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে।

খেজুর গুড়ের স্বাদ এবং এর গুনাবলির কারনেই অনেকের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এই গুড়। তাই তারা অনেকেই বাজার থেকে গুড় কিনে খেয়ে থাকেন যেটি মোটেও সাস্থ্যসম্মত নাহ।বাজারের অধিকাংশ গুড়েই ব্যবহার করা হয় হাইড্রোজ, ফিটকিরি সহ আরো অনেরক ক্ষতিকর কেমিকেল। এতে আমাদের সাস্থ্যঝুকি বেড়ে যায়, এবং ঊপকারের চেয়ে অপকারের মাত্রা বেড়ে  যায় বহুগুনে।

কি ভাবছেন? তাহলে স্বাদে ঘ্রানে এবং মানে সেরা গূড় কোথায় পাবেন?  আপনাদের মতো মিষ্টি প্রেমিদের কথা চিন্তা করেই আমরা বিন্নি ফুড নিয়ে এসেছি সম্পুর্ন নিজস্ব তত্বাবধানে শুধু মাত্র খেজুর রস থেকে তৈরি করা প্রিমিয়াম কোয়ালিটি পাটালি খেজুর গুড় এবং ঝোলা গূড়। আমাদের তৈরিকৃত এই পাটালি গুড় দিয়ে আপনি যেকোনো পিঠা  বা ডেজার্ট আইটেম তৈরি করতে পারবেন। সেই সাথে  ঝোলা গুড় দিয়ে আপনি মজাদার জিলাপি তৈরি করতে পারবেন এমনকি চিনির বিকল্প হিসেবে চা, কিংবা রুটি এর সাথেও খেতে পারবেন এই ঝোলা গুড়।

বিন্নিফুডের প্রিমিয়াম খেজুর গুড়ের বৈশিষ্ট্য

প্রিমিয়াম খেজুর গুড়ের বৈশিষ্ট্য
  • নিজস্ববধানে তৈরি কৃত গুড়। তাই সম্পূর্ন ভেজালমুক্ত।
  • কোনো রকমের চিনি, হাইড্রোজ, কেমিক্যাল, কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয় নি।
  • ফ্রেশ খেজুর রস থেকে জ্বাল দিয়ে তৈরি করা এই গুড়।
  • সঠিকমাত্রায় জ্বাল দিয়ে প্রস্তুত করা হয় বলে পুষ্টিগুন বজায় থাকে।
  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে গুড় প্রস্তুত করা হয় বলে ১০০% স্বাস্থ্যসম্মত।
  • বায়ুরোধী প্যাকেট বা পাত্রে রাখলে ফ্রিজিং ছাড়াই সারা বছর সংরক্ষন করতে পারবেন।

শীতের এই সকালে ঠান্ডা কাশি কমাতে বা মাথা ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে এই  খেজুর গুড়। এমন কি নিয়মিত এই গুড় খেলে আপনার ত্বক এবং চুলের জণ্যো এটি বেশ উপকারী। তাই সুস্থ্য  এবং সুন্দর থাকতে নিয়মিত খেতে পারেন এই গুড়, সেই সাথে আপনি যদি মিষ্টিপ্রেমি হয়ে থাকেন তাহলে তো কোনো কথায় নেই। নিজের এবং প্রিয়জনের জন্য অর্ডার করতে পারেন আমাদের বিন্নি ফুডের প্রিমিয়াম খেজুর গুড়। অর্ডার করতে এখনই ম্যাসেজ করুন অথবা কল করুন 01841-878691 এই নাম্বারে।

Bornali Akter Borno

Bornali Akter Borno is a passionate food enthusiast and entrepreneur. From an early age, her love for culinary exploration led her to experiment with flavors and ingredients, ultimately inspiring her to work with Binni Food, an e-commerce brand dedicated to offering premium quality Organic Food and delectable treats to food enthusiasts in Bangladesh. Bornali's relentless pursuit of flavor and commitment to excellence have earned her recognition in the culinary world. Her journey is a testament to the power of passion and perseverance, showcasing how dedication to one's craft can lead to entrepreneurial success and culinary innovation.