দুগ্ধজাত খাবার গুলোকে তাদের বিশেষত্বের উপর ভিত্তি করে প্রোবায়েটিক বলা হয়। এই ধরনের খাবার সাধারণত পুষ্টিগুণের কারখানা হয়ে থাকে। বিশেষ করে দই ও ঘি এই দিক থেকে সব থেকে উপরে থাকবে। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ঘি অনেক সুস্বাদু যা খাবারের স্বাদ অনেক গুন বৃদ্ধি করে। আমাদের আজকের লেখায় আমরা ঘি সকালে খেলে কি হয়, তা কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে ও রূপচর্চায় ঘি কীভাবে আমাদের সহায়তা করে সে সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সকালে প্রথম ঘি খেলে কি হয়?
প্রচলিত পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘি খাওয়ার সব থেকে উৎকৃষ্ট সময় হচ্ছে প্রতিদিন সকালে। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩ চামচ এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রতিদিন সকালে ২ চামচ করে ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যকর। সারাদিন এত সময় থাকতে তাহলে কেন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়?
মূলত আমরা যখন সকালে ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের শরীর একটি স্টাবল অবস্থায় থাকে। অর্থাৎ তখন শরীর তার মধ্যে জমা হয়ে থাকা ক্যালরি থেকে নিজের কার্যক্ষমতা পরিচালনা করে। দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এই সময় সচল থাকে। হজম হওয়ার এনজাইম গুলো অবসর সময় কাটায়। এই কারণে যখন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়া হয় তখন তা সাথে সাথে কাজ শুরু করে।
প্রথমে ঘি পেটের দূষিত বায়ু দূর করে ও অস্বাস্থ্যকর অ্যাসিডিটি নিরাময় করে। তারপর হজম প্রক্রিয়া শুরু হয় যা ঘি তে থাকা প্রায় ৩০ টির বেশি পুষ্টি উপাদান ভেঙ্গে তা দেহের শোষণ করার উপযোগী করে তোলে। যেহেতু সকালে আমাদের মস্তিষ্ক ও দেহের অন্যান্য অঙ্গ সারারাত বিশ্রামের ছিল তাই এই সময় তারা পুনরায় সচল হয় এবং রক্তের মাধ্যমে উক্ত পুষ্টিগুণ দেহের সকল জায়গায় পৌঁছে যায়।
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যমতে ১০০গ্রাম ঘিতে সাধারণত ০.২৫ গ্রাম পানি, ৮৭৬ ক্যালরি, ০.২৮ গ্রাম প্রোটিন, ৯৯.৪৮ গ্রাম ফ্যাট, ৪ মিলি ক্যালসিয়াম, ৩ মিলি ফসফরাস, ৫ মিলি পটাশিয়াম, ২ মিলি সোডিয়াম, ০.০১ মিলি জিংক, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ৬১.৯২ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ২৭.৭৩ গ্রাম মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ৩.৬৯ পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ও ২৫৬ মিলি কোলেস্টেরল আছে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঘি খাওয়ার ফলে দেহের যে যে উপকার হয় তা নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলো।
কোষের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ভিটামিন বি এবং সি দেহের মধ্যে জমা না হয়ে তা প্রস্রাবের মাধ্যমে বেড়িয়ে যায়। তবে যেটুকু সময় এই ভিটামিন দেহে থাকে ততটুকু সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সারিয়ে তোলে এবং তাদের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই দিক দিয়ে ঘিতে থাকা ভিটামিন বি শরীরের সকল স্থানের কোষ এমনকি মস্তিষ্কের কোষের সমস্যা দূর করে ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে ঘি খেলে এই সুবিধা সব থেকে বেশি পাওয়া যায়।
মস্তিষ্ক সক্রিয় করে
আমরা জানি মস্তিষ্কের কোষ স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট দ্বারা গঠিত। অর্থাৎ মস্তিষ্ক সুস্থ স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম রাখতে প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাটের। দুগ্ধজাত পণ্য ঘিতে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় স্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়।
যে গুলো মস্তিষ্ক সুগঠিত করার পাশাপাশি এর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন সকাল বেলা নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘি খালি পেটে খেলে তা আমাদের মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার জাতীয় মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
চুল পরা রোধ করে
ঘিতে থাকা বিভিন্ন রকমের পুষ্টি উপাদান দেহের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে কাজ করে। বিশেষ করে চুল পড়া ও চুলের অপুষ্টি সমস্যা দূর করতে ঘি তে থাকা পুষ্টি উপাদান অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যাইহোক, নিয়মিত ঘি খেলে তা মাথার উপরের অংশের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে চুল পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল ও অন্যান্য উপাদান পায়। এতে চুল সিল্কি হওয়ার পাশাপাশি শক্ত ও মজবুত হয়। যা চুল ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না থাকার পেছনে অনেক কারণ কাজ করে। এদের মধ্যে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া, ধমনীর গায়ে অতিরিক্ত চর্বি, গ্লুকোজের আধিক্য ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ। এগুলো ছাড়াও শরীরে পুষ্টি উপাদান তথা ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব দেখা দিলে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
তবে নিয়মিত খালি পেটে সকালে ঘি খাওয়া হলে তাতে থাকা পুষ্টি উপাদান এই সকল সমস্যা দূর করে। এতে দেহে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল শুরু হয় যা পুরো শরীর সুস্থ রাখে।
জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করে
দেহের বিভিন্ন জায়গায় যে হাড় রয়েছে তাদের জয়েন্টে এক ধরনের লুব্রিক্যান্ট থাকে। এই লুব্রিকেন্টের কাজ হল জয়েন্টের নড়াচড়া স্বাভাবিক রাখা। তবে অস্টিওপোরোসিস রোগের কারণে এই লুব্রিকেন্টের উৎপাদন কমে যায় যা জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা সৃষ্টি করে।
এই সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য ঘি একটি উত্তম মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কারণ সকালে খালি পেটে ঘি খেলে তা এই বিশেষ লুব্রিকেন্টের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ফলে সহজেই অস্টিওপোরোসিস রোগ থেকে সুস্থ থাকা যায়।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
মানুষের পাকস্থলীতে একশ ট্রিলিয়নের থেকেও বেশি অণুজীব ও এনজাইম বাস করে। এদের মধ্যে উপকারী ও অপকারী দুই ধরনের অণুজীব থাকে। সকালে খালি পেটে ঘি খেলে তা উপকারী এনজাইম ও অণুজীবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
বিশেষ করে পেটের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক গ্যাস দূর করতে এটি অনেক কাজ করে। এই জন্য সকালে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাছাড়া অণুজীবগুলো দ্রুত হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যা আপাত দৃষ্টিতে শরীরে দ্রুত পুষ্টি উপাদানের জোগান নিশ্চিত করে।
দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে
দেহের তাপমাত্রা আমাদের স্বাভাবিক জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে শীতকাল ও গ্রীষ্মকালে দেহে তাপমাত্রার হেরফের হলে অসুস্থতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রতিদিন সকালে যখন নিয়মিত ঘি খাওয়া হয় তখন তা দেহের অনেক গুলো কাজ সম্পাদন করে যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
বিশেষ করে ঘি শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও মস্তিষ্ক কর্মক্ষম রাখে যা পরোক্ষভাবে দেহের উত্তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যা দেহের সর্বোপরি তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে ও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে।
ত্বক উজ্জ্বল করে
ঘি একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ত্বকের বিভিন্ন রোগ যেমন সোরিয়াসিস নিরসন করে। তাছাড়া নিয়মিত ঘি খাওয়ার কারণে তা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনর্গঠন করে যা ত্বকের কালো দাগ, ব্রণ ইত্যাদি দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়
একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন করার জন্য সব থেকে বেশি কাজ করে হরমোন। এটি আমাদের আবেগ-অনুভূতি, হাসি-বেদনা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া মস্তিষ্কের সাথে হরমোনের সরাসরি সংযোগ আছে। বিশেষ করে আমাদের মস্তিস্কে যখন ডোপামিন হরমোন নিঃসৃত হয় তখন আমরা আনন্দ অনুভব করি।
দেহে এই সকল উপকারী হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি করার যত গুলো প্রাকৃতিক খাদ্য আছে তাদের মধ্যে ঘি অন্যতম। কারণ এটি প্রাকৃতিকভাবে অনেক উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এই কারণে মস্তিষ্কের কোষ পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও ঘি এর আরো অনেক পুষ্টিগুন ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যে কারনে আমাদের প্রতিদিন পরিমান মতো ঘি খাওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন কি পরিমান ঘি খাওয়া উচিত ও কেমন পরিমানে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। যা আপনার জন্য অনেক বেশি কার্যকর হবে।
ওজন কমাতে ঘি
আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ধারণা আছে যে ঘি খেলে দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই কথা ঠিক তবে তা পুরোপুরি সঠিক নয়। এর পেছনে কারণ হলো গবেষণায় দেখা গেছে একজন সুস্থ মানুষের খাদ্য তালিকায় ঘি থাকলে তা ওজন বাড়াতে নয় বরং কমাতে অথবা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে।
আমরা জানি ঘিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক উপকারী পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাছাড়া ঘি হচ্ছে অতি উৎকৃষ্ট মানের ক্যালরি সরবরাহকারী। এটি আমাদের দেহে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। যা শরীরের নানা সমস্যা দূর করার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
ঘিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। এগুলো দেহের মধ্যে অতিরিক্ত চর্বি জমা থেকে বিরত রাখে। পাশাপাশি শরীরে কোনো ক্ষতিকর চর্বি জমতে দেয় না যা এমনিতেই দেহের ওজন বাড়তে দেয় না।
এতে থাকা ক্যালরি স্বাভাবিক ভাবে আমাদের দেহে শক্তি সঞ্চার করে। যা ঘন ঘন খিদে লাগা রোধ করে। এতে আমরা অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকি। যা প্রয়োজনের অধিক ক্যালরি ও চর্বি জমা থেকে বিরত রাখে। পাশাপাশি দেহে কোনো প্রকারের দুর্বলতা কাজ করে না।
তাছাড়া ঘিতে প্রচুর পরিমাণে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যা প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্য ঠিক রেখে ওজন কমায়। তাছাড়া ঘিতে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড কোষে থাকা চর্বি গলাতে সাহায্য করে। যা দেহ সুগঠিত করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন কমায়।
রূপচর্চায় ঘি এর ব্যবহার
ঘি একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এতে আছে ভিটামিন এ, বি, কে সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া ঘিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস সহ অন্যান্য মিনারেল উপাদান। প্রতিদিন সকালে যখন খালি পেটে ঘি খাওয়া হয় তখন তা দ্রুত হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার পুষ্টিগুণ পুরো শরীরে প্রবাহিত হয়।
এই কারণে দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। রক্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দেহের প্রতিটা কোষে অক্সিজেন সহ অন্যান্য উপাদান পৌঁছে দেয়। এতে সেই ত্বক পুনর্গঠিত হয়। বিশেষ করে মুখের ত্বকের মরা কোষ দূর হয় যা অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ বা স্পট দূর করে। তাছার মরা কোষ না থাকায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
এতে বুড়িয়ে যাওয়া ভাব থাকে না এবং অনেক প্রাণবন্ত দেখা যায়। তাছার চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার জন্য ঘিতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এগুলোর পাশাপাশি ঘি ত্বকের কোষগুলো পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় রাখে। এতে ত্বক শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা পায় এবং দীর্ঘক্ষণ ময়েশ্চারাইজ থাকে।
এই কারণে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় বিশেষ করে ঠোঁট আর্দ্র থাকে এবং ত্বক তুলতুলে ও কোমল থাকে। প্রতিদিন সকালে ঘি খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকে ব্যবহার করলেও অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায়। তবে খালি পেটে খেলে ত্বকে মাখার থেকে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।
ঘি তথা দুগ্ধজাত খাবার আমাদের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে। যা আমরা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে কোন প্রকারের কেমিক্যাল ছাড়াই পেয়ে থাকি। আশা করি এই লেখাটি পরে আপনি ঘি এর উপকারী দিক সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছেন।