ঘি কে তার অপ্রতিদ্বন্দ্বী পুষ্টিগুণের কারণে তরল সোনার সাথে তুলনা করা হয়। পুষ্টিগুণ বিবেচনায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে পুরোনো ঘি মানসিক রোগ নিরাময়ে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমাদের আজকের লেখায় আমরা প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা, গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা ও পুরাতন ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন ঘি খাওয়ার নানামুখী উপকারিতা রয়েছে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে ঘি কে মহৌষধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর কারণ ঘি তে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন রকমের উপকার করে। নিচে প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা বর্ণনা করা হলো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ঘি এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা আমাদের দেহের ভেতরে উপস্থিত জীবাণু নির্মূল করে ও নতুন জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এতে সহজে আমাদের শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। অর্থাৎ ঘি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এতে প্রায় সকল বয়সের মানুষ ঘি খেতে পারে। তাছাড়া প্রতিদিন পরিমিত মাত্রায় ঘি খেলে টা দেহে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। এতে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যায়। এই কারণে পুষ্টিবিজ্ঞানে ঘি কে তরল সোনা বলা হয় যা সকল রোগের প্রতিকারক হিসেবে পরিচিত।
পানি শূন্যতা দূর করে
শরীর যখন তার ভেতর অবস্থিত এনার্জির বেশি খরচ করে তখন দেহে পুষ্টি উপাদানের অভাব সৃষ্টি করে। সাধারণত একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন করার জন্য তার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকা জরুরি। এই পানি দেহের কোষ গুলোকে সজীব রাখে ও কর্মক্ষম রাখে। কোনো কারণে দেহে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হলে তা শরীরের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ব্যাহত করে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে পানি শূন্যতা সম্ভাব্য বড় রোগের কারণ হয় যা মৃত্যু ঘটাতে পারে। তবে প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমিত মাত্রায় ঘি খেলে তা আমাদের দেহের পানির লেভেল স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। যা পরোক্ষভাবে দেহের জন্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
হজম বৃদ্ধি করে
আমরা জানি মানব দেহে অবস্থিত পাকস্থলীতে কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়নের থেকেও বেশি অণুজীব থাকে। এদের মধ্যে সিংহভাগ উপকারী কাজে ব্যবহৃত হয়। যা পাচন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা সহ খাদ্য উপাদান ভেঙ্গে যে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তা পুরো দেহে পরিবহনের কাজ করে।
যদিও এই কাজ রক্তের মাধ্যমে হয় তবে প্রাথমিকভাবে অণুজীব পরিবহনের কাজ করে থাকে। যাইহোক, হজম যত ভালোভাবে হয় আমরা তত তাড়াতাড়ি খাদ্য থেকে পুষ্টি পাই। যাদের হজমে সমস্যা থাকে তারা প্রায় সময় অপুষ্টিতে ভোগে।
তবে নিয়মিত ঘি খেলে তা খাবার নরম করে এবং হজম এনজাইমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে হজম প্রক্রিয়া দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ নিয়মিত ঘি খেলে তা আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ঘি এর অন্যতম বড় গুন হচ্ছে এতে সহনীয় মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা উপকারী ফ্যাটের দ্বারা গঠিত। যা শিরা-উপশিরা সহ ধমনীর ক্ষতিকারক ফ্যাট দূর করে যা ব্লক হওয়া রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।
এতে হার্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত প্রবাহিত হয় যা হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণ স্বাভাবিক রাখে। এই কারণে হৃদপিণ্ডে কোনো অসুখ দানা বাঁধতে পারে না। যা হার্টের কর্মক্ষমতা ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ
ঘি তে ভিটামিন এ, বি, কে ও ডি সহ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও জিংক সহ অন্যান্য মিনালের উপাদান থাকে। এগুলো শরীরের গঠন, বৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজনীয়। এগুলো শরীরের কোষের পরিচর্যা করার পাশাপাশি রক্ত উৎপাদন বাড়ায়, অস্থিমজ্জা ঠিক রাখে, হাড়ের গঠন ঠিক রাখে ও শক্তিশালী করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ঘি একটি নরম খাবার যাতে অসংখ্য পরিমাণে অণুজীব রয়েছে। এগুলো হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে ও শক্ত খাবার ভেঙ্গে নরম করে। তাছাড়া এটি পাকস্থলীর দূষিত গ্যাস ও অম্লতা দূর করে যা হজম হওয়ার পরে যে বজ্র থাকে তা নরম রাখে। এতে বজ্র নিষ্কাশনে কোন সমস্যা হয়না এবং খাদ্য প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।
যা অরুচি থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে সুস্থ রাখে। সাধারণ ঘি এবং টক অথবা মিষ্টিদই প্রাকৃতিক গ্যাসের ট্যাবলেট হিসেবে কাজ করে। যখন অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় তখন ঘি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে
ঘি তে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিডের পাশাপাশি ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এগুলো দেহের ক্ষতিকারক ফ্যাট দূর করে ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এতে কোনো প্রকারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া দেহ থেকে অতিরিক্ত ওজন কমে যায়। তাছাড়া ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের গঠন ত্বরান্বিত করে এবং হরমোন উৎপাদন ও নিঃসরণ স্বাভাবিক রাখে। প্রতিদিন পরিমাণ মত ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য দুগ্ধজাত খাবার তথা ঘি বেশ উপকারী। শুধু ঘি নয় বাচ্চাদের জন্য দুগ্ধজাত খাবার বরাবরই অনেক উপকারী। বিশেষ করে খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে তৈরি করা ঘি শিশুদের জন্য প্রায় মায়ের বুকের দুধের কাছাকাছি পুষ্টি সরবরাহ করে। বাচ্চার ওজন বৃদ্ধিতে, হাড়ের গঠন উন্নত করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল, ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে, মস্তিষ্কের গঠন দৃঢ় করা সহ আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে খাটি ঘি তে। আরো বিস্তারিত আপনি এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারবেন।
গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা
ঘি খাওয়ার নানামুখী উপকারিতা রয়েছে। তবে অন্য খাবারের সাথে ঘি মিশিয়ে এর পুষ্টিগুণ আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব। নিচে গরম ভাতের সাথে ঘি খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
স্বাদ বৃদ্ধি করে
ঘি একটি সুপরিচিত অরগানিক ফুড। এতে রয়েছে প্রায় সকল ধরনের পুষ্টিগুণ যে কারণে একে সুপার ফুড বলা হয়। পুষ্টিগুণের কারণে ছোট বাচ্চা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবাই নিয়মিত ঘি খেতে পারে। ঘি সরাসরি র হিসেবে খাওয়া যায় এবং অন্য খাবার যেমন ভাতের সাথেও খাওয়া যায়। সাধারণত গরম ভাতের সাথে ঘি মেশালে তার স্বাদ অনেক গুন বৃদ্ধি পায়।
কারণ ঘিতে একটি সুন্দর ও মিষ্টি ঘ্রাণ আছে যা ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সাথে মিলিত হয়ে এক অন্যরকম সুস্বাদু স্বাদ ঘ্রাণ তৈরি করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে রোদে বসে ঘি দেওয়া গরম ভাত খেলে আপনি বুজতে পারবেন এতদিন কোন স্বাদ আপনি মিস করেছেন। যাইহোক, ঘি পুষ্টিগুণ সরবরাহের পাশাপাশি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে।
পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে
ভাতের প্রধান কাজ হচ্ছে দেহে শর্করা সরবরাহ করা। সাধারণত ভাতে ৭৯% শর্করা, ৬% আমিষ ও বাকি অংশ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান দিয়ে পরিপূর্ণ। যখন ভাতের সাথে ঘি মেশানো হয় তখন সেই পুষ্টি উপাদানের সাথে ঘি এর পুষ্টি উপাদান যোগ হয়। দুটো মিলিয়ে একটি সুষম খাবার তৈরি হয় যা ভাতের সর্বোপরি পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে।
শরীর ঠান্ডা রাখে
গরমের দিনে আমাদের সুস্থ থাকার জন্য শরীর ঠান্ডা রাখার প্রয়োজন পরে। ঘিতে থাকা ময়েশ্চারাইজার উপাদান দেহের শুষ্কতা দূর করে ভেতর থেকে দেহ ঠান্ডা রাখে। এছাড়া ঘি শরীরের পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে পানি শূন্যতা দূর হয় ও ত্বক সজীব থাকে। যাইহোক, গরম ভাতের সাথে ঘি খেলে তা ভাতের মধ্যে থাকা গরম ভাব দূর করে ও শরীরের অভ্যন্তরে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা হওয়া থেকে নিরাপদ রাখে।
ক্লান্তি হ্রাস করে
সাধারণত যখন অতিরিক্ত পরিশ্রম হয় তখন আমাদের দেহ নিজেকে রক্ষা করার জন্য দেহে ক্লান্ত ভাব নিয়ে আসে। এতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ক্যালরি সংগ্রহ করতে পারে। গরম ভাতের সাথে ঘি খেলে তা শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালরি সরবরাহ ত্বরান্বিত করে। এতে যেমন দীর্ঘ সময় কাজ করার এনার্জি থাকে তেমনি ক্লান্তি আসে না।
পুরাতন ঘি এর বৈশিষ্ট্য
- নিচে পুরাতন ঘি এর বৈশিষ্ট্য বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।
- কমপক্ষে ১০ বছর সংগ্রহ করা হলে তাকে পুরাতন ঘি বলে।
- ১০০ বছর পার হলে ঘি সব থেকে বেশি উপকারী হয়ে ওঠে।
- পুরাতন ঘি রোগ নিরাময় করতে ব্যবহৃত হয়।
- পুরাতন ঘি কটু গন্ধ যুক্ত ও টক হতে পারে।
- এতে কোনো অ্যালার্জি সমস্যা নেই।
পুরাতন ঘি এর উপকারিতা
আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে কোন বায়ুশূন্য বয়াম অথবা কনটেইনারের ভেতরে অরগানিক ঘি কম পক্ষে ১০ বছর সংগ্রহ করা হলে তাকে পুরাতন ঘি বলা হয়। অর্থাৎ সকল প্রকারের বাতাস চলাচল প্রতিহত করে যখন ঘি ১০ বছরের বেশি সংগ্রহ করা হয় তাহলে তা পুরাতন ঘি হিসেবে পরিচিত পায়। এই সময় যত দীর্ঘ হবে ঘি এর গুণাগুন তত বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষ করে ১০০ বছর পুরোনো ঘি অসুখ সারানোর জন্য সব থেকে বেশি ভূমিকা পালন করে। নিচে পুরাতন ঘি এর উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
রোগ নিরাময়ে পুরাতন ঘি
সাধারণত পুরাতন ঘি ব্যবহার করে মহিলাদের প্রজনন সমস্যা নিরসন করা হয়। তাছাড়া এটি মাথা, চোখ, কান ও গলার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন একই অবস্থায় থাকার কারণে এতে এন্টিমাইক্রোবিয়াল সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া নিরাময় করতে কাজ করে। ঘি যত পুরাতন হয় তাতে থাকা পুষ্টিগুণ তত শক্তিশালী হয়।
মানুষিক রোগের চিকিৎসায় ঘি
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিভিন্ন রকম মানুষিক সমস্যা যেমন মৃগীরোগ, সিজোফ্রেনিয়া ও বিষণ্নতা নিরাময় করার জন্য পুরাতন ঘি ব্যবহার করা হয়। মানুষিক রোগ সমাধানের বিষয়ে পুরাতন ঘি অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই কারণে ভেষজ চিকিৎসায় পুরাতন ঘি ব্যবহার করে নানা সমস্যা সমাধান করা হয়। এই প্রক্রিয়া সেই প্রাচীন আমল থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে।
ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময়
ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে সকাল বেলা খালি পেটে। এই সময় ঘি খেলে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আপনি সকালে খালি পেটে খেতে না চাইলে অন্য খাবার যেমন ভাত বা রুটি ইত্যাদির সাথে খেতে পারেন। অথবা সব ধরনের রান্না ঘি দিয়ে করতে পারবেন। এতে আলাদা ভাবে ঘি না খেয়ে তরকারির সাথেই খেতে পারবেন।
তবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য খালি পেটে ১ বা ২ টেবিল চামচ ঘি খাওয়া অনেক উপকারী। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ঘি শিশুদের জন্য অনেক উপকারী। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে ঘি খেতে হবে নয়তো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন ওজন বৃদ্ধি, পেট ব্যথা অথবা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সর্বোপরি ঘি খাওয়ার সব থেকে উপযুক্ত সময় হচ্ছে সকালে খালি পেটে।
উপরিউক্ত আলোচনায় ঘি কীভাবে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে ভূমিকা রাখে এবং আমাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সাধারণত ঘি আমাদের জন্য একটি সুপারফুড যা শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবাই নির্দ্বিধায় খেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই খাটি ও ভালো মানের ঘি খেতে হবে। ভেজাল, খারাপ মানের ও কেমিক্যালযুক্ত কোন খাবারই কিন্তু আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি বা ভালো না।
ঘি এর জন্য বিখ্যাত পাবনা জেলা। কারন পাবনা জেলার পদ্মা নদীর চরে বেড়ে উঠা দেশী গরু খাটি দুধ দিয়ে দক্ষ কারিগর দ্বারা তৈরি করা হয় পাবনার বিখ্যাত খাটি গাওয়া ঘি। যার স্বাদ ও মান বেশ জনপ্রিয় ও পছন্দের। অথেন্টিক ও প্রিমিয়াম মানের পাবনার এই খাটি গাওয়া ঘি বিন্নিফুড দীর্ঘদিন যবত সুনামের সাথে সরবরাহ করে আসছে। তাই আপনার সুস্বাস্থ্যের কথা ও বেস্ট কোয়ালিটির খাটি দানাদার ঘি খাওয়ার চিন্তা করলে নির্দিধায় টেষ্ট করতে পারবেন।